রামু-ঈদগাঁও সড়কে অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন পুলিশ।
কক্সবাজার জেলার চৌকস ও দক্ষ পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন-এর নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন থানায় অপরাধ দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্য দেখা যাচ্ছে। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলায় মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয়রা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ঈদগাঁও থানার আওতাধীন মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, চিহ্নিত ডাকাত ও অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নজরদারি চালালে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
বিশেষ করে রামু-ঈদগড় সড়কে ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু সময় অভিযান শীতল হলে অপরাধীরা পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা সড়কে সিএনজি, টমটম ও মোটরসাইকেল থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা জিম্মি রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে, নির্দিষ্ট অর্থ আদায় শেষে রামুর রশিদনগর বা কক্সবাজার ক্রীড়া ও কারিগরি কলেজ এলাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই সড়ক দিয়ে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করেন। তাই রামু-ঈদগড় সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে, ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফরিদা ইয়াছমিন দায়িত্ব গ্রহণের পর ৪ দিনের মধ্যেই ঈদগড় পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার ও অনলাইন জুয়ার আসর প্রতিহত করার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে।