সদরপুরে আত্মঘাতী ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে পরিবেশ।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের করিম শেখের ডাংগীর কালাম শেখের ফসলের জমি কাটা পুকুরের মধ্যে ‘আত্মঘাতী ড্রেজার’(অবৈধ মাটি কাটার মেশিন) বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে ধসে যাচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং হুমকির মুখে পড়ছে ইউনিয়নের পরিবেশ।
স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ড্রেজার দিয়ে গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল ও পুকুর থেকে যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। ড্রেজার মালিকরা বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে এ অবৈধ কারবার।
আবার এসব ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালুর বেশিরভাগই স্থানীয়রা কম খরচে এবং সহজ পদ্ধতিতে বালু পাওয়ায় বসতবাড়ি নির্মাণেও অনেকে পরিবেশ বিধ্বংসী এই ড্রেজার ব্যবহার করছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আকোটের চর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের করিম শেখের ডাংগীর কালাম শেখের ফসলের জমি কাটা পুকুরে এভাবে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে।
আকোটের চর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের করিম শেখের ডাংগীর কালাম শেখের পুকুরে থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয়
নুরু শেখ ও ফসলের জমি কাটা পুুকুরের মালিক কালাম শেখ।
এ বিষয়ে নুরু শেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন স্পটে থাকেন আমি আসতেছি, নুরু শেখ আসার পরে সাংবাদিকে বলে আমি আওয়ামী লীগের বিশাল বড় নেতা , আমার সাথে কেউ পারেনা আপনারা আসছেন আপনাদেরকে সম্মান করবো, সংবাদকর্মী যখন বলেন আমি একটা ফুটেজ নিয়ে আসি, নরু শেখ বলেন ফুটেজ নিয়ে কি করবেন আমি আপনাকে আগে পরিচয় দিয়ে দিছি না, তারপরও ফুটেজ নিবেন?নিয়ে কি করবেন আমার (অশ্রাব্য গালি) ফালাবেন, যে হাত দিয়ে ভিডিও করবেন, দুই হাত কিন্তু কেটে রেখে দিব।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান- মাটির নিচ থেকে কাদা বালু উত্তোলন করা হলে ভূমির উপরিভাগ ঠিক থাকলেও তলদেশের ব্যাপক জায়গা নিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে বড় বড় স্থাপনা, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক এলাকা দেবে যেতে পারে। এটা পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এছাড়াও কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হলে কৃষি জমিগুলো অকৃষিতে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আত্মঘাতী ড্রেজার রয়েছে। ডাক পড়লেই মেশিনপত্র নিয়ে গ্রামের আনাচে-কানাছে ছুঁটে যাচ্ছে ড্রেজার মালিক-শ্রমিকরা।
আকোটের চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না, তবে আপনার মাধ্যমে জানলাম, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করব, এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবো।
সদরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানাকে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দিয়া সম্ভব হয়নি।